Logo

অর্থনীতি    >>   শেয়ারবাজারে বড় পতন: ডিএসইর সূচক সর্বনিম্নে

শেয়ারবাজারে বড় পতন: ডিএসইর সূচক সর্বনিম্নে

শেয়ারবাজারে বড় পতন: ডিএসইর সূচক সর্বনিম্নে

রোববার (২৭ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) যথাক্রমে সূচকের বড় পতনের শিকার হয়েছে। এই পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।

রোববার, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪৯ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৬৫ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এটি ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, ডিএস-৩০ সূচক ৪৮ দশমিক ১৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৩৬ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১ হাজার ৮৩০ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট ও ১ হাজার ১০৭ দশমিক ৭২ পয়েন্টে পৌঁছেছে।

এদিন, ডিএসইতে মোট ৩০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কম। এই সময় ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যেখানে ২৯টির দাম বেড়েছে, ৩৪১টির দাম কমেছে এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স সূচক ১৮০ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৬ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট ও ৮ হাজার ৫২৫ দশমিক ১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দিনের বেলা ১টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ১০০ পয়েন্টের বেশি কমেছে, এবং ৩১৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩১৬টিরই দাম কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক এবং বাজারে আস্থা কমে যাওয়ার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বাজারের পতনে অনেক বিনিয়োগকারী তাঁদের বিও হিসাব বন্ধ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে যারা শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য ক্রেতার অভাব রয়েছে।

সাপ্তাহিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ১২ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা কমে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

এছাড়া, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যা গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। যদিও, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ারবাজার নিয়ে উদ্বেগ এবং আস্থা সংকট পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে।

বর্তমানে দেশের শেয়ারবাজারে যে অবস্থা বিরাজ করছে, তা বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে সাথে এই বাজারের উন্নতি বা পতনের দিকে নজর রাখতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা যায়।